বাৎসরিক বা বার্ষিক আয়ের সনদ পত্র। Annual income certificate

বাৎসরিক বা বার্ষিক আয়ের সনদ পত্র কি এবং কি কি কাজে লাগে?

বাৎসরিক আয়ের সনদ বা বার্ষিক আয়ের সনদ বলতে যেই সনদ টাকে বুঝায় সেটা হলো একজন মানুষ বছরে কি পরিমান অর্থ উপার্জন করে বা ক্ষমতা রাখে এমন সনদ কে বাৎসরিক আয়ের সনদ বলা হয়। এই সনদ সাধারণত বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদানে অথবা এমন কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সক্ষমতা যাচাই করার উদ্দেশ্যে নিয়ে থাকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং বিভিন্ন সেবা মুলক প্রতিষ্ঠান শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদানে সাধারণত পিতা/মাতা/ বা অভিভাবকের বাৎসারিক আয়ের সনদ নেই । এছাড়াও অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির আর্থিক সামর্থ্য যাচাই বা অনুদান প্রদান করার জন্য সেই ব্যক্তির বাৎসরিক বা বার্ষিক আয়ের সনদ পত্র নিয়ে থাকে।

এই সনদ পত্র দুই ভাবে লেখা হয় ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে পিতা/মাতা/ বা অভিভাবকের বাৎসারিক আয়ের সনদ এবং সাধারণ নাগরিকের নিজ নামে প্রদান করা হয়। এই সনদ সাধারণত ইউনিয়ন পরিষদ/সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা/অথবা কাউন্সিল অফিস হতে প্রদান করা হয় এতে স্বাক্ষর প্রদান করে সিটি সিটি কর্পোরেশন মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা মেম্বার বা কাউন্সিলর রা।

নিম্নে বাৎসরিক বা বার্ষিক আয়ের সনদ পত্রের নমুনা কপি দেওয়া হইল। 


 

 বাৎসরিক  আয়ের সনদ


       এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাইতেছে যে, মোছাঃ খাদিজা খাতুন, পিতাঃ মোঃ মকছেদ মোল্লা, মাতা- মোছাঃ রেহেনা বিবি,  গ্রাম- মুর্শিদপুর, পোঃ- জাহানাবাদ, থানা/উপজেলাঃ মোহনপুর জেলাঃ রাজশাহী। সে ৬ নং জাহানাবাদ ইউনিয়নের একজন স্থায়ী বাসিন্দা এবং জন্মসুত্রে বাংলাদেশের নাগরিক। আমি তাহাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি ও জানি। আমার জানামতে তাহার পিতার বাৎসরিক আয়- ৬০,০০০/-  (ষাঠ হাজার টাকা মাত্র) এবং তিনি কোন প্রকার রাষ্ট্রদ্রোহি কার্যকলাপের সহিত জড়িত নাই ।


আমি তাহার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল ও উন্নতি কামনা করিতেছি।


স্বাক্ষর-



(মোঃ হযরত আলী)
চেয়ারম্যান
৬ নং জাহানাবাদ ইউ.পি
মোহনপুর, রাজশাহী।
 
 

 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সোহাগ ইনফোটেক এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url